সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় ৫ নং পোল্ডারের উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রায় দেড়শ ফুটেরও বেশী জায়গা পাশের খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকার সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন অংশের ঐ বাঁধ আকস্মিকভাবে নদীতে বিলীন হয়। এসময় আশপাশের এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত অংশে মাটি ফেলার কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত অংশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে উক্ত অংশে সংস্কার কাজের সময় গুনগত মান রক্ষা না হওয়াতে দেবে যাওয়া চরের উপরিভাগের বাঁধ নদীতে ধসে গেছে। দ্রæত রিং বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে মধ্য রাতের জোয়ারে তদসংলগ্ন ৫/৬টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শংকা রয়েছে।
দুর্গাবাটি গ্রামের নিলুৎপল মন্ডল জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাঙন কবলিত অংশের নিকটবর্তী চিংড়ি ঘেরে তারা কয়েকজন কাজ করছিলেন। এসময় আকস্মিকভাবে সাইক্লোন শেল্টারের পুর্ব প্রান্তের উপকূল বাঁধের প্রায় দেড়শ ফুটের বেশী জায়গা পাশের খোলপেটুয়া নদীতে ধসে পড়ে। এসময় চারিদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের পাশাপাশি পাশর্^বর্তী গ্রামসমুহ থেকে শত শত মানুষ ভাঙন কবলিত অংশে পৌছে ধসে যাওয়া বাঁধের ভিতর দিয়ে রিং বাঁধ নির্মাণের জন্য ঘটনাস্থলে জড়ো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষক পরীক্ষিত মন্ডল জানায়, রাতের জোয়ার আসার পুবেই রিং বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে পশ্চিম ও পুর্ব দুর্গাবাটি, ভামিয়া, পোড়াকাটলাসহ আশপাশের ৫/৬টি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে নদীতে বড় ধরনের জোয়ারের পর ভাটা শুরুর এক পর্যায়ে আগে থেকে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় থাকা বাঁধের ঐ অংশ নদীতে বিলীন হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান, নদীর চর দেবে যাওয়ার কারনে হঠাৎ খাড়াভাবে উক্ত অংশের বাঁধ নদীতে ধসে যায়। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবিহত করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে তারা রওনা হয়েছেন।
আসাদুজ্জামান সরদার