নিখাদ বার্তাকক্ষ : পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের কথিত ও মিথ্যা-বানোয়াট দুর্নীতির অভিযোগ পদ হারানো সেই আবুল হোসেনকে নিয়েই সেতুর ফলক উম্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতুর মনগড়া দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনকে সরে যেতে হয় শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার থেকে। তখন থেকেই তিনি রাজনীতি থেকে অনেক দূরে ছিলেন। পদ হারিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে। পরে সংসদ নির্বাচনে পাননি দলীয় মনোনয়ন।
তবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশেই ছিলেন সেই সময়ে যোগাযোগমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়া আবুল হোসেন। এছাড়া সুধী সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতে আবুল হোসেনসহ অন্যদেরকেও সহমর্মিতা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় সরকার প্রধান বলেন, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। এ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। সেই অপবাদ সহ্য করেছেন আমার পরিবারের সদস্য ছোটবোন শেখ রেহানা, তার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আমার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সহকর্মী। তারা চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
এর আগে গেলো বুধবার পদ্মা সেতু নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, আবুল হোসন আবারও আওয়ামী লীগে ফিরবেন কিনা, সেটা সময় বলে দেবে। আর সেতুর উদ্বোধনে আবুল হোসনকে পাশে রেখে ঠিকই উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী।