আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে

জাতীয়

নিখাদ বার্তাকক্ষ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তার সরকার এটিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংসদে ঢাকা-৪ (ডেমরা-শ্যামপুর) আসনের জাতীয় পার্টির (জেপি) সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংসদ নেতা নির্বাচনকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের গৃহীত ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত এবং নির্বাচনকালীন দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা।
জাতীয় পার্টির এই আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে কি না।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক সংস্থা।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধান ও আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন। সরকার ইসিকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(আমি) আশা করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ইসি তার কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাধীন থাকবে এবং এটি কেবল সংবিধান ও আইনের এখতিয়ারে কাজ করবে। তিনি বলেন, ইসির কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা সরকার ও নির্বাহী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগই দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে আন্তরিক ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন একটি অপরিহার্য উপাদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা ঐতিহাসিক ও অনস্বীকার্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষভাবে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বিল’ উত্থাপনের সময় বিরোধী দলের প্রায় ২২টি সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে যা নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার প্রথম পদক্ষেপ।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ছবি সম্বলিত ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *