আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মো. মজনুকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ধর্ষিত শিক্ষার্থী।
ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন ওই তরুণী। ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুনাহার তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সাক্ষ্যে ঘটনার বর্ণনার শেষ পর্যায়ে মজনুকে ধর্ষক বলে ওই তরুণী শনাক্ত করেন বলে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ জানিয়েছেন।
সাক্ষ্য দেওয়ার পর তাকে জেরা করেন আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম।
জজ আদালত ভবনে অবস্থিত এই ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য নেওয়ার সময় অন্য কাউকে এজলাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় আসামি মজনুকে।
রোববার মামলার বাদী ওই তরুণীর বাবার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই মামলার বিচার শুরু হয়।
এই বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ঢাকার কুর্মিটোলায় নামার পর ঢাবি ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশের ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ঐসময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন ভাবি ছাত্রী।
জ্ঞান ফেরার পর উক্ত ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। পরে তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।