মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে বাংলার যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কীয় সকল কার্যক্রমের সমন্বয়সাধন, দক্ষতার পারস্পরিক স্বীকৃতি, অভিন্ন প্রশিক্ষণ কারিকুলাম প্রণয়ন ও সনদায়ন এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে কাজ করছে।’
আগামীকাল ১৫ জুলাই “বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস” উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দেয়া একে বাণীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য `Skills for a resilient youth’।
দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত দক্ষতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। জাতীয় পর্যায়ে দক্ষতা প্রতিযোগিতার আয়োজন ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় দক্ষতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ যুব সমাজকে দক্ষতা উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে একটি দক্ষ যুব সমাজ গড়ে তুলতে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা একান্ত জরুরি। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজতর হবে মর্মে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘২০২০ সাল আমাদের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ বছর। এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদ্যাপন করছি। এই মহান নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। তবে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে আমরা পরিকল্পনামাফিক অনুষ্ঠানসমূহ উদ্যাপন করতে পারছি না। জনগণের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে আমরা জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি। টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজটাল মাধ্যমে কিছু কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে।’
দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে প্রণীত প্রথম শিক্ষানীতিতে গণমুখী ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জনেেগাষ্ঠী তথা যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে।
বাণীতে তিনি বাংলাদেশ জাতিসংঘের আহ্বানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় প্রত বছর ১৫ জুলাই বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস পালন করতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন। বাসস