নিখাদ বার্তাকক্ষ : সাংবাদিকদের জন্য সরকার ঘোষিত নবম সংবাদপত্র মজুরীবোর্ড রোয়েদাদ দ্রুত সংশোধন করে তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন’র সভাপতি ওমর ফারুক এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহসীন কাজী।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে ইতিপূর্বে প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা বহাল রেখে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। একই সাথে মুদ্রাস্ফীতি ও বর্তমান বাজার ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে সাংবাদিকদের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন মহার্ঘ্য ভাতা প্রণয়নের দাবি জানান।
একই সাথে রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা নানাভাবে আর্থিক অনটনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের জন্য অন্তবর্তীকালীন মহার্ঘ্যভাতা চালু করা অতীব জরুরি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাংবাদিকরা নবম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের দাবি জানানোর পর সরকার ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হকের নেতৃত্বে নবম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড গঠন করে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সরকার নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারী করে। ঘোষিত ওই রোয়েদাদের দ্বাদশ অধ্যায়ে মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশের নামে সাংবাদিকের যেসব সুযোগ-সুবিধা ইতিপূর্বে বিদ্যমান ছিল তা সংকুচিত করা হয়। এতে সাংবাদিকদের বেতনের উপর আরোপিত আয়কর মালিকদের পরিবর্তে সাংবাদিকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। দুই মাসের বেতনের সমপরিমান গ্র্যাচুইটির পরিবর্তে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ গ্র্যাচুয়েটি নির্ধারণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। পরষ্পর বিরোধী সিদ্ধান্তের কারণে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন থমকে যায়। ফলে অর্থিকভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। করোনা পরবর্তী সময়ে এই সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে।’