লাদাখ নিয়ে গেল জুনের ১৫ তারিখ থেকে হঠাৎ করেই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ভারত ও চীন। ওই দিন চীনা সেনাদের হাত ২৩ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পর দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা সত্বেও কোনো সমাধান আসেনি। বর্তমানে সেখানে দুই দেশের ভারী অস্ত্র মুজদ রয়েছে। বিপুল পরিমাণ সেনাও মোতায়েন করেছে উভয় দেশ।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের অভ্যন্তরে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটেরও ডাক উঠেছে। কিন্তু বহু চীনা পণ্য রয়েছে যা ছাড়া ভারতের বাজার কার্যত চলে না। ফলে পণ্য বয়কট নিয়ে জটিলতা রয়েছে।
কিন্তু এর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে দিল্লির আম আদমি সরকারের বসানো প্রায় দেড় লাখ সিসিটিভি নিয়ে। দিল্লির রাস্তায় এসব সিসিটিভি ইনস্টল করা হয়েছে। এসব ডিভাইসের মাধ্যম দিল্লির বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে, দিল্লির বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন রাস্তায় সিসিটিভি বসিয়েছে আম আদমি পার্টি বা আপ সরকার। সিসিটিভিগুলো কেনা হয়েছিল চীনা সংস্থা হিকভিশনের কাছ থেকে। তারাই এই সিসিটিভি তৈরি করার পাশাপাশি ইনস্টল করার দায়িত্বেও ছিল।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখার জন্য দিল্লিবাসীকে ফোনে ওই সংস্থার একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। এখানে বড় বিপদের ভয় রয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে দিল্লির সাধারণ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অ্যাপে নজরদারি চালাতে পারেন চীনা প্রশাসন থেকে চীনা সেনাবাহিনীও। কারণ এর মূল সার্ভার রয়েছে চীনে। ফলে দিল্লির কোন রাস্তায় কখন কী হচ্ছে, তা একেবারে তাদের নখদর্পণে থাকছে। যা প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে দিল্লি সরকারের সমালোচনা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বর্ষীয়ান নেতা শাহেনওয়াজ হুসেন বলেন, সিসিটিভিগুলোর মূল সার্ভার রয়েছে চীনে। ফলে দিল্লির রাস্তায় কখন কী হচ্ছে, তা পুরোটাই চীনে বসে দেখা সম্ভব হচ্ছে। যা চিন্তার বিষয়।