নিখাদ বার্তাকক্ষ : এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ঋণের দিক থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি আজ দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের একথা জানান।
তাজুল ইসলাম জানান, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ঋণ আমাদের। আমরা কখনো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইনি। সেজন্য বিশ্বব্যাংক আমাদের দেশকে আরো বেশি ঋণ দিতে চায়। তিনি বলেন, আমরা সেই খাতেই অর্থায়ন নেই, যেখানে বিনিয়োগের ফলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে। আমরা ঋণ বুঝে-শুনেই নেব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত বিচার বিশ্লেষন করে বিদেশী বিনিয়োগগুলো গ্রহণ করছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক তো আসলে অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল ও উর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নেই। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান শক্তিশালী দেশ হিসাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে অনেক ভালো।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের ঢাকাসহ সকল শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নের ব্যাপারে পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সেনিটেশন, ওয়াটার সাপ্লাই, গ্রামীণ কমিউনিকেশন ডেভলপমেন্ট, ব্রিজ, রাস্তাঘাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা সম্ভব্য সবক্ষেত্র অর্থায়নের কথা বলেছে। আজকের মিটিংয়ের প্রেক্ষাপটে তারা তাদের হেডকোয়ার্টারে কিছু প্রস্তাব পাঠাবে। বর্তমানে তাদের ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থায়নের প্রকল্প কাজ চলমান আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে একটি ৩শ’ মিলিয়ন ডলারের এবং আরেকটি ৫শ’ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তারা প্রায় একশো বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের বিষয়ে তারা অনেক ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছে। তিনি বলেন, ‘যে বিনিয়োগগুলোতে আমাদের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সার্বিক উন্নয়ন হবে, সে সমস্ত বিনিয়োগগুলোকেই উৎসাহিত করা হবে এবং এই বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। বিশ্বব্যাংক সারাবিশ্বে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করায়, আমাদের তুলনায় তাদের অভিজ্ঞতা বেশি আছে। সেজন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।
পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিশ্বব্যাংক নিজেই এখন স্বীকার করে যে, পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশ তাদের সক্ষমতা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।