ই-নিখাদ ডেক্স: বাংলাদেশে কোভিড-১৯ কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে বক্তব্যের পর বিভ্রান্তি তৈরি হওয়াতে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এ ভাইরাস আগামী দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত থাকবে’ এমন বক্তব্য দেওয়ার একদিনের মাথায় আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এই দুঃখ প্রকাশ করেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে আমার একটি বক্তব্যকে ঘিরে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। ব্যস্ততার কারণে বক্তব্যের স্ক্রিপ্টটি ভালো করে পরীক্ষা করার সুযোগ হয়নি। স্ক্রিপ্টটি পাঠ করে অনলাইনে বক্তব্য রাখি। পরবর্তী সময়ে বুঝতে পারি বক্তব্যটি নিয়ে অস্পষ্টতার সৃষ্টি হতে পারে।’ ভিডিও বার্তায় আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বুঝতে পেরে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রেরিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে বিষয়টি স্পষ্ট করা করে দেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তির শুরুতে উল্লেখ করা হয়, মহাপরিচালকের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিতে হলে দয়া করে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে দেবেন।
’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, কিছুদিন পরে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের উচ্চহার কমে আসতে পারে। কিন্তু করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করলে অনেক লুকায়িত এবং মৃদু কেসও শনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যায় পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারে।’ ‘গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইস্যুকৃত বুলেটিনে বলা হয়েছিল, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় এবং বিশ্বের বিজ্ঞানিদের ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি সারাবিশ্বে এক, দুই বা তিন মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে না।
একটি সফল টিকা আবিষ্কার এবং পর্যাপ্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সফল প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দেশগুলোতে করোনার অস্তিত্ব থাকবে। ফলে এটি এক বছরের বেশি, এমনকি দুই বা তিন বছর বা এরও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। যদিও আমরা মনে করি, সংক্রমণের মাত্রা অনেক হ্রাস পাবে। গণমাধ্যম যাতে বিষয়টি বুঝতে পারে সেজন্য এই অংশটি হলুদ রঙে হাইলাইড করে দেওয়া হয়েছিল।’ ভিডিও বার্তায় বক্তব্যের শেষে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে এই বিষয়টি সকলকে বলতে চেয়েছি। আশা করি, এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে গণমাধ্যমসহ সকলেই বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবে। অনলাইন পঠনে স্ক্রিপ্ট ত্রুটির জন্য অস্পষ্টতা তৈরি হওয়া বিনীতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’