মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের মতো অদৃশ্য শত্রুর আবির্ভাব, প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার এবং সময়ের অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন হুমকির উপাদানও সৃষ্টি হয়েছে।’
চার দেশের সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে টাঙ্গাইলে ‘অনুশীলন শান্তির অগ্রসেনা ২০২১’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে সোমবার (১২ এপ্রিল) ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বহুমাত্রিক ও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে শান্তিরক্ষীদের প্রাণহানি উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। এ যাবৎ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ১৫৮ জন প্রাণ উৎসর্গ করেছেন এবং ২৩৭ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে আগামীদিনে নতুন সঙ্কট মোকাবিলায় শান্তিরক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম প্রস্তুত করা সময়ের দাবি। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অনুশীলন শান্তির অগ্রসেনা ২০২১-এ অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয় আপনাদের মাধ্যমে আপনাদের দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হবে, বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতাপূর্ণ হবে। জাতির জনকের শান্তির দর্শন প্রতিষ্ঠায় এ বহুজাতিক অনুশীলন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নিখুঁত ও সফলভাবে এই অনুশীলনের আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারবান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনার, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের প্রতিনিধিরা। অনুশীলনে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা থেকে ১২৩ জন সেনাসদস্য অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে চার দেশের চারজনকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ তুলে দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
উল্লেখ্য, বহুজাতিক এই সামরিক অনুশীলনে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হতে ৩০ জন করে এবং ভুটান হতে ৩৩ জনসহ মোট ১২৩ জন সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেপাল, তুরস্ক, সৌদি আরব, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের মোট ১২ জন পর্যবেক্ষক