ঢাকার বাইরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। মৌলভীবাজার, মুন্সিগঞ্জসহ ৩১ জেলায় করোনার উচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জেলায় সংক্রমণের হার ২৫ ভাগের বেশি। ঢাকাসহ এসব জেলায় মানুষের চলাচল বেশি হওয়ার কারণেই সংক্রমণ বেড়েছে, বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চায়ের দেশ মৌলভীবাজার। এবার করোনা হানা দিয়েছে সেখানেও। ৬৪ জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ এখানে। টানা দুই সপ্তাহ সংক্রমণের হার প্রায় ৩০ ভাগ। অথচ তিন সপ্তাহ আগেই এই হার ছিল ৫।
এছাড়া, মুন্সীগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ২৮ এবং ঢাকায় করোনা রোগী শনাক্তের ২৬ ভাগ। সিলেট, নরসিংদী, খুলনা, নারায়ণগঞ্জেও শনাক্তের হার ২০ ভাগের বেশি। মঙ্গলবার উচ্চ সংক্রমিত জেলার সংখ্যা ছিল ৬। বুধবারই একদিনের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ৩১।
গাজীপুর, রাজশাহীসহ বাঁকি ২৫ জেলায় শনাক্তের হার ১০ থেকে ২০ ভাগের মধ্যে। তিন সপ্তাহ আগেই এই হার ছিল ৬ থেকে সাতের মধ্যে। সংক্রমণ প্রতিরোধে এ সব জেলাকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহ ১০ থেকে ২০ ভাগ হলে উচ্চ সংক্রমণ, ৫ থেকে ১০ ভাগ মধ্যম সংক্রমণ আর শুন্য থেকে ৫ হলে নিম্ন সংক্রমণ ধরা হয়।
তালিকায় থাকা অন্য জেলাগুলো হচ্ছে- নরসিংদী, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, রাজশাহী, বগুড়া, নড়াইল, নীলফামারী, গাজীপুর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মাদারীপুর, নওগাঁ, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, নাটোর, টাঙ্গাইল এবং কক্সবাজার।
এসব জেলায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় তার শনাক্তের হার ১০ শতাংশের উপরে থাকলে সেসব জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়। প্রতিটি জেলায় এগুলো করা হয়েছে। এসব জেলায় শনাক্তের হার ১০ থেকে ২০ এর মধ্যে। এই তালিকা প্রতি সপ্তাহে আপডেট করা হবে। সম্প্রতি নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি শুরু হলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল। পরে বাকি জেলাগুলো যোগ হযেছে।
দেশে করোনাভাইরাস দ্রুত বাড়ছে। গত ২৫ মার্চ থেকে ৩১ শে মার্চ এই সাতদিনেই শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৪৮৭ জন। দৈনিক গড়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৯ হাজার ৪৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জন।