চীনের কৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো জোরদারে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার এবং পরারষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নয়াদিল্লি সফর করবেন।
ভারতের পরারষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সূত্র আজ বাসসকে জানায়, নয়াদিল্লিতে ২৬ ও ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও পরারষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মধ্যে ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের জন্য মার্ক এসপার ও মাইক পম্পেও ভারত সফর করবেন।
লাদাখে চীনের সঙ্গে ভারতের চলমান অচলাবস্থার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রীর এই সফরকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বৃহস্পতিবার তার এবং পম্পেও’র ভারত সফর নিশ্চিত করে বলেছেন, রাশিয়া ও চীনের বৈশ্বিক ক্ষমতার নেটওয়ার্ক তৈরির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে পুরানো জোটকে জোরদার এবং নতুন মাত্রায় উন্নীত করার মার্কিন বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মার্ক এসপারের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন থেকে এনডিটিভি’র রিপোর্টে বলা হয়, চীনের কৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই দেশের জোট শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।
এসপার বলেন,“আমি নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করি ভারত চলতি শতাব্দীতে ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠবে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, অত্যন্ত সক্ষম একটি দেশ, খুবই প্রতিভাবান এ দেশের লোক। হিমালয়ে বিশেষ করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রন রেখায় প্রতিদিন চীনের আগ্রাসন মোকাবিলা করছে।”
তার এবং পম্পেও’র ভারত সফর ঘোষণাকালে তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে চীন তাদের উপস্থিতি জোরদারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই বৈঠকে সমপক্ষীয় ভারতীয় নেতৃত্ব “আরো ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা” জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেবেন।
তবে নয়াদিল্লিতে মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়, সফরকালে এই সংলাপে ভূ-স্থানিক সহযোগিতা জোরদারে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বেসিক এক্সচেঞ্জ এন্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট (বিইসিএ) স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়, আমেরিকা এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটা ভারসাম্য তৈরি করতে চায় । এ জন্য তারা শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপও সফর করবে।
জি নিউজের রিপোর্টে আজ বলা হয়, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার এবং পরারষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ভারতের পরারষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে বিইসিএ স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটি ভারত-মার্কিন ২+২ তৃতীয় দফার সংলাপ, এরআগে প্রথম ২০১৮ সালে নয়াদিল্লিতে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৯ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।