নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন নতুন করে যাওয়া-আসা করেন আসছেন কর্মমুখী কয়েক লক্ষ মানুষ। দিন দিন চাপ বাড়ছে এই নতুন মেগাসিট নারায়নগঞ্জের। সেই তুলনায় বাড়ছে না রাস্তাঘাট। এর ফলেই যানজট যেন নিত্যসঙ্গী এই এলাকায় জনসাধারণের। কিন্তু ধারাবাহিক যানজটের এই শহরে সোমবার রীতিমতো স্থবির হয়ে পড়ে নগরজীবন। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীও জেলার প্রবেশদ্বারের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে ও তৈরি হয় তীব্র যানজট।
উল্লেখ্য যে, দৈনিক নিখাদ খবরের বিসিক প্রতিনিধি “নিখাদ ডেক্স”কে জানায় আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জ এর বিসিক এলাকায় সকাল থেকে ট্রাফিক জ্যাম এর কারণে পুলিশ লাইন থেকে মোক্তারপুর পর্যন্ত জনজীবন সম্পূর্ন অচল হয়ে পড়ে এবং জনসাধারণের চলাচল হুমকির মুখে। এক ট্রাক ড্রাইভার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, সকাল দশটায় আমি ট্রাক পঞ্চবটি মোড় এসে বসেছিলাম এবং সেই ট্রাক নিয়ে আমি মেথরখোলা পাড় হই সন্ধ্যা সাতটায়। উক্ত রাস্তায় চলাচলরত এক ভূক্তভূগী অভিযোগ করে বলেন,পঞ্চবটি মোড় থেকে বিসিক শাহী মসজিদ এর ব্রীজ পযর্ন্ত রাস্তার যে অবস্থা বৃষ্টির পানিতে রাস্তার মাঝখানে মনে হবে পুকুর দিয়ে বা ডোবা দিয়ে গাড়ি চলাচল কযছে। অন্য আরো কিছু ভূক্তভূগীরা আমাদের প্রতিনিধিকে দেখে সমস্বরে অভিযোগ করে বলেন, এই রাস্তায় আমার যারা প্রতিদিন চলাচল করি তাদের দুঃখ দূর্দশার কথা কারোর দেখার বা শোনার কেউ নেই। শুধুমাত্র যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অথবা সড়ক যোগাযোগ ও সেতূমন্ত্রীর যদি নজরে যদি আপনারা আনতে পারেন অথবা কোন মিডিয়া যদি ফলাও করে প্রচার করে উনাদের নজরে আনেন তাহলে যদি এই সমস্যার সমাধান হতে পারে অন্যথায় কোন কাজই হবে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, গত পাঁচ বছরে ট্রাফিক পুলিশ যে পরিমাণ ইটা এই রাস্তায় ফেলেছে,যদি বঙ্গোপসাগরে ফেলতো তবে সাগরের অর্ধেক ভরাট হয়ে যেত এই প্রতিনিধি মন্তব্য করেন। সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হয় পুলিশ।কারন ড্রাইভারদের কন্ট্রোল করা আসলে ই কঠিন কাজ। সব চেয়ে বেশী বিরক্ত করে অটোরিকশার ড্রাইভার।দুই হাজার এর বেশী অটো চলে এই রাস্তায়।