নিখাদ ডেক্স: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা এবং বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের দিকনির্দেশনা ও সার্বক্ষণিক তদারকিতে
সাতক্ষীরায় ১ কোটি ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের মালিকবিহীন বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য আটকের প্রায় ১বছর পর গতকাল সেগুলি বুলড্রোজার চালিয়ে ধ্বংস করেছে বিজিবি ।
উল্লেখ্য যে, বিজিবির সদর দফতরের সম্মেলনকক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় চার দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হবার ঠিক ৪৫ মিনিট পরে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আনুমানিক ১ কোটি ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য ধ্বংসের কার্যক্রম করেছিল বিজিবি।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার জানান ১ কোটি ৯১ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ধ্বংস কৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৭,৩০০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল ১,৩৯৫ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ২৫৭ কেজী গাঁজা ২২,৬৪৮ পিস ইয়াবা, ৭,৬৩৮ পিস বিভিন্ন প্রকার নেশা জাতীয় ট্যাবলেট এবং ২০,০০০ প্যাকেট বিড়ি/সিগারেট ও অন্যান্য তামাক জাতীয় দ্রব্য, তিনি আরো জানান ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল হতে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে মালিক বিহিন এসব মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছিল।
মাদকদ্রব্য ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিজিবি খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো: আরশাদুজ্জামান খান। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন মাদক কারবারীরা দেশ ও জাতির শত্র“ এদের কে ধরিয়ে দিন, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীরা কারও বন্ধু হতে পারে না। মাদক সেবীরা সমাজে অনেক অপরাধ করে থাকে। আপনার আমার পরিবারের অনেকে অজান্তে মাদক সেবনে জড়িয়ে পরে। আপনার সন্তানদের সব সময় খোজ খবর নিবেন কোথায় যায় কার সাথে মেশে এগুলো খেয়াল রাখা উচিত। তিনি আরো বলেন মাদকের ভয়াল থাবা আমাদের সমাজকে গ্রাস করছে সুতরাং আমাদের মাদকের ভয়াল থাবা থেকে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য প্রতিটি এলাকা থেকে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শুধু বিজিবি, র্যাব, পুলিশ দিয়ে মাদক বন্ধ করা যাবে না এজন্য সকল সেক্টর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক ভাবে এদেরকে বয়কট করতে হবে। দেশ প্রেমিক বিজিবি সৈনিকরা সীমান্তে অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। কোন ক্রমেই মাদকদ্রব্য দেশের অভ্যন্তরে যেন ঢুকতে না পারে সে জন্য সদা সজাগ রয়েছে। মাদকের সাথে কোন ছাড় নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন খন্দকার, মেজর রেজা আহমেদ (অতি: পরিচালক অপারেশন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুর্শিদা খাতুন, সদর থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনের অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ তাজুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবুল হোসেন এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা।