মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ঝিটকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বেদখল হওয়া নিজস্ব জমি উদ্ধারের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিটকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও হরিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে ঝিটকা বাজার বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ হাসান ইমাম বাবুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোমিন উদ্দীন খান, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মীর আওলাদ হোসেন হারুন, রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন, ধূলশুড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সলিম মিয়াসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হরিরামপুর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মো. সেলিম মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আজিম খান, লেছড়াগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ হোসেন ইমাম সোনা মিয়া, বাল্লা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার খোরশেদ আলম, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জিন্নত আলী, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বরুণ দে, সুতালড়ী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. রাজা মিয়া, বলড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নাজির হোসেন, বয়রা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বেরেজ খান, চালা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মহসিন খান, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার খলিল বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিবসহ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান এবং আ’লীগের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষজন।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, একই উপজেলার কচুয়া গ্রামের আব্দুল আলিম হাসি জনৈক এক ব্যক্তি একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় রাতের আধাঁরে লোকজন নিয়ে তাদের ১৯৯১ সালে সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত ৬ শতাংশ জমিটি দখল করে ৪তলা ভবনের নির্মাণ কাজ করছেন। এই বহুতলা ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে ক্রয়কৃত অন্তত ৩ কোটি টাকা মূল্যের এই জমিটি উদ্ধারের জন্য তারেক হোসেন পলক নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাদী হয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ও সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ জানিয়ে জমিটি উদ্ধারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।