সাবেক মেজর সিনহা হত্যা মামলায় সাত পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনরায় চার দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের চৌকষ ও সভ্যসাচী এএসপি খাইরুল ইসলাম।
আজ টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, সাবেক সদস্য এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে আদালতে আনা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম বলেন, সোমবার রিমান্ড শেষ হওয়ার পর প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলালকে আদালতে এনে আবারো সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাদের প্রত্যেকের আরো চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
“এছাড়া ইতিপূর্বে রিমান্ড শেষে কারাগারে থাকা চার পুলিশ সদস্যকেও আরও জিজ্ঞাসাবাদের আদালতে আনা হয়। তাদেরও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও আদালত চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।”
এএসপি খাইরুল আরও বলেন, সাবেক ওসি প্রদীপসহ তিন আসামিকে সোমবারই রিমান্ডে নেওয়া হবে। অন্য চার পুলিশ সদস্যকে সুবিধাজনক সময়ে র্যাব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হন।
এ ঘটনায় সিনহার বোন মামলা করেছেন। সেই মামলায় এ পর্যন্ত ১০ আসামিকে রিামান্ডে নেওয়া হলো। তার মধ্যে সাত পুলিশ সদস্যকে দুই দফা, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে একদফা রিমান্ডে নেওয়া হয়্। এছাড়া এপিবিএনের তিন সদস্যকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলেও এখনও হেফাজতে নেওয়া হয়নি।