‘কেউ অপরাধ করলে কঠোর শাস্তি হোক’

অপরাধ সাস্থ্য ও চিকিৎসা

অপরাধীর শাস্তি দাবি করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে কঠোর শাস্তি হোক তা আমি চাই। এ বিষয়ে তদন্তে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’

আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কর্মকর্তারা। দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদকের পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজেকে নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও সফল দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক এই ডিজি।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সিএমএসডি কর্তৃক কোভিড সংশ্লিষ্ট ক্রয় বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি কী জানি তা শোনার জন্য দুদকের কর্মকর্তারা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি তা বিস্তারিত বলেছি।’ নিজেকে নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও সফল দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি একজন কঠোর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবাদ, সৎ, দক্ষ, সফল ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে সারা জীবন কাজ করেছি।’
গত ৬ আগস্ট দুটি চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুই দফায় হাজির হতে বলা হয়। একটি চিঠি পাঠান দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী এবং অপরটি পাঠান দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

পরিচালক শিবলীর চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সাবেক ওই ডিজির বক্তব্য শোনা জরুরি।

শেখ ফানাফিল্যার চিঠিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ও অন্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে সাবেক ডিজিসহ পাঁচজনের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে।

এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানা যায়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ইউনুস আলী, ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলামকেও তলব করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *