মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ কামালের মতো মেধাবী এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বেঁচে থাকলে সমাজ ও দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতো।
বুধবার (৫ আগস্ট) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অডিটোরিয়ামে শেখ কামালের কর্মময় জীবনের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্য-স্বজনদের পাশাপাশি সহকর্মীদেরও হত্যা করেছে আর্মি অফিসাররা।
শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করে তিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে শেখ কামাল নিজের জন্য কিছুই করেনি, বরং বিয়ের পরে তাকে ৩২ নম্বরের বাড়ির তৃতীয় তলায় স্ত্রীসহ থাকার জায়গা করে দিতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সব সন্তানই বাবার হাত ধরে স্কুলে গেলেও আমাদের সে সুযোগ হয়নি। বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করায়, পরিবারের বড় ছেলে শেখ কামালকে শৈশব থেকেই ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মায়ের সাথে পরিবারের অনেক দায়িত্বও পালন করতে হয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শেখ কামালের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন শেখ কামালের ঘনিষ্ঠজন, বন্ধু ও সহযোদ্ধারা।
আলোচনায় অংশ নেন মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।