বাসস : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষের দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই আওয়ামী লীগের ৭ দশকের ঐতিহ্য।
তিনি বলেন, করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং বন্যাদুর্গত মানুষের কল্যাণে দলীয় নেতাকর্মীদের মানবিক অংশগ্রহন অব্যাহত আছে। দেশের প্রতিটি অর্জনের সাথে যেমনি রয়েছে আওয়ামী লীগ, তেমনি দেশের প্রতিটি দুর্যোগ-সংকটে জনমানুষের পাশে রয়েছে আওয়ামী লীগ। মানুষের দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই আওয়ামী লীগের ৭ দশকের ঐতিহ্য।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য, নগদ অর্থ, চিকিৎসা সহায়তা, সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার পর দুর্গত মানুষের জন্য রান্না করা খাবারসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এভাবেই গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক ও আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয়ে নজরদারি করছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। করোনা মোকাবিলায় নানা ধরণের সীমাবদ্ধতা সত্বেও শেখ হাসিনা সরকার সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা ও মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিভাগে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার নিবিড় মনিটরিংয়ের ফলে সমন্বয়হীনতা কমে এসেছে, বাড়ছে সমন্বয়। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোয় জনমনে আস্থা আবারও সুদৃঢ় হয়েছে। শেখ হাসিনার নিরলস শ্রম, মানবিক নেতৃত্ব ও দক্ষতার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদেও দেশে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে এতে আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই, কারণ যে কোন সময়ে তা অবনতির দিকে যেতে পারে। দেশের প্রতিটি অর্জনের সাথে যেমনি রয়েছে আওয়ামী লীগ, তেমনি দেশের প্রতিটি দুর্যোগ, সংকটে জনমানুষের পাশে রয়েছে আওয়ামী লীগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।