রেখার বাড়ির একাধিক কর্মচারীই করোনা পজিটিভ। তাঁদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা কর্মীও রয়েছেন। মুম্বাই পৌরসভার কর্মীরা আক্রান্তদের নিয়ে গেছেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু বাড়ি স্যানিটাইজড করা বা কোভিড টেস্টের জন্য কিছুতেই হদিশ মিলছে না বাড়ির কর্ত্রীর। বাড়িতে মুম্বাই পৌরসভার কর্মীদের ঢুকতে দিলেন না রেখা।
সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) করেছে। ভানুরেখার বাংলো সি স্প্রিং সিল করে দেওয়া হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে তাঁর বাড়ি এবং আশপাশের অঞ্চল।
স্বাভাবিক ভাবেই এরপর ডাক পড়ে রেখা এবং তাঁর সহায়ক ফারজানার। টেস্ট ছাড়াও গোটা বাংলো স্যানিটাইজড না করলে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে কতক্ষণ সময় লাগবে না? কিন্তু এই সব সাবধানতা অবলম্বনে কোনও ভাবেই নাকি রাজি করানো যাচ্ছে না তাঁকে।
রেখাকে যাতে রাজি করানো যায় তাই ফারজানা পৌরসভা কর্মীদের নাকি অভিনেত্রীর ফোন নম্বরও দিয়েছেন। বলেছেন, আগে ফোনে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলে তারপর যেন তাঁরা আসেন। কিন্তু সব চেষ্টাতেই জল ঢেলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর অবুঝ জেদ, বাড়ির ভেতরে তো কাউকে ঢুকতে দেবেনই না, টেস্টও করাবেন না!
কিন্তু কেন রেখার এমন অদ্ভুত জেদ? অভিনেত্রীর দাবি করছেন, তিনি অচেনা কারোর সংস্পর্শে আর আসতে চান না। বলেই তিনি তাঁর বাড়িতে অজানা মানুষদের প্রবেশ করতে দিবেন না। নিন্দুকদের দাবি, এই সুযোগে কেউ যাতে অভিনেত্রীর আসল চেহারা দেখে নিতে না পারেন তার জন্যই সম্ভবত তিনি এই আচরণ করছেন।
রেখা জানিয়েছেন, তিনি নিজেই তার লালারস সংগ্রহ করে পৌরসভায় জমা দেবেন। বাড়িতে ঢুকতে না পেরে মুম্বাই পৌরসভায় আপাতত রেখার লালারসের জন্যই অপেক্ষা করছেন।