ঈদুল আজহার ছুটির সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মস্থলে থাকতে হবে। তারা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যোগ দেন। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটির সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আসন্ন ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটি বাড়ানো হবে না।’
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ঈদ যেদিনই পালিত হোক, ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন-এই তিন দিন সরকারি ছুটি থাকবে।’
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সরকারি সাধারণ ছুটি ছিল। এরপর ধীরে ধীরে সীমিত পরিসরে অফিসগুলোতে কাজকর্ম শুরু হওয়ায় ঈদের সময় আর বাড়তি ছুটির চিন্তা-ভাবনা সরকারের নেই বলেও সচিব জানান।
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন সাধারণ ছুটি থাকে। আর এই দুই ঈদের আগের ও পরের দিন থাকে নির্বাহী আদেশে ছুটি।