রাজশাহী প্রারতিনিধি> রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ককে রড দিয়ে পিটিয়েছে। এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দুই তরুণের মধ্যে প্রেমঘটিত দ্বন্দ্ব। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। এদিকে এই ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মারধরের শিকার ওই সমন্বয়ক।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নগরের কাদিরগঞ্জ ষষ্ঠিতলা কিউট ছাত্রাবাসে নুরুল ইসলামের (শহীদ) ওপর হামলা হয়। হামলায় তিনি বাঁ হাতে আঘাত পেয়েছেন। তাঁর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন আছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, এটা সম্পূর্ণ বাইরের ঘটনা ছিল। দুই ছেলে এক মেয়েকে পছন্দ করেন। এই প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে হৃদয় ও মোস্তাক মিল্টন নামের দুই তরুণের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ ঘটনায় ষষ্ঠিতলা এলাকায় ওই রাতে মিল্টনকে ধরে আনেন হৃদয়। সেখানে হৃদয়ের দুলাভাইও আসেন। খবর পেয়ে মিল্টনের লোকজন ধাওয়া দিলে হৃদয়ের দুলাভাই ছাত্রাবাসে গিয়ে ওঠেন। মেসে আটকে রাখার খবর পেয়ে হৃদয়ের লোকজন এসে হামলা করেন।
আহত নুরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায়। এ ছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৭ সদস্যের কমিটির একজন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী শহরে তাঁর আত্মীয়ের বাসায় আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নুরুল ইসলাম নিখাদ খবরকে জানান, ”তিনি এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। শরীরে ব্যথা রয়েছে। বাঁ হাতে রডের আঘাত লেগেছে। সেখানে ফ্যাকচার না হলেও খুব ব্যথা আছে।”আজকের মধ্যেই এই ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি’। হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, মেসে নিজ কক্ষে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় অপরিচিত এক ব্যক্তি ছাত্রাবাসে এসে প্রতিটি কক্ষের দরজা ধাক্কা দিয়ে কাউকে খুঁজছিলেন। তিনি দ্রুতই জানতে পারেন যে বাইরে থেকে এক ব্যক্তি এসে ছাত্রাবাসে পালিয়েছেন।
তখন তিনিও খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে শামীম নামের এক ব্যক্তিকে মেসের চারতলায় খুঁজে পান তিনি। এ সময় শামীমের পক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন এসে কোনো কথা না বলেই তাঁর ওপর হামলা করেন। তাঁরা ছাত্রাবাসের মালিক রোকন উদ্দীনসহ অন্যদেরও মারতে থাকেন।