নিখাদ খবর প্রতিবেদক>
অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও তার অন্তত ১৪জন আত্মীয়স্বজনদের নামে বিপুল পরিমাণে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আজ বুধবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যম কর্মীদের।
মামলায় আসামিরা হলেন, অতিরিক্ত কর কমিশনার (চ.দা.), পরিদর্শী রেঞ্জ-১ ও ২, কর অঞ্চল কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন, শ্যালক আফতাব আলী, শাশুড়ি মমতাজ বেগম, শ্বশুর আহম্মেদ আলী, ভাই কাজী খালিদ হাসান, মামা শ্বশুর শেখ নাসির উদ্দিন, খালা শাশুড়ি মাহমুদা হাসান, শ্যালিকা ফারহানা আফরোজ, খালা রওশন আরা খাতুন, খন্দকার হাফিজুর রহমান, বোন ফারহানা আক্তার, মা কারিমা খাতুনসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট, কাজী নুর ই আলম ছিদ্দিকী
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, নিজ নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনসহ মোট ১৪ জনের নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৭ কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখে এবং অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন ও ছদ্মাবৃত্ত করা তথা মানিলন্ডারিং এর উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে হিসাব খুলেছেন।
এসব হিসেবে সন্দেহজনক লেনদেন করে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
১০ জন আসামি অপরাধলব্ধ সম্পত্তি নিজ নামে গ্রহণ, দখলে নিয়ে বা ভোগ করে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে মানিলন্ডারিং এ সহায়তা করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
বাকি ৩ জন আসামি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে হিসাব খুলে হিসাবসমূহে সন্দেহজনক লেনদেন করে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে মানিলন্ডারিং এ সহায়তা করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হযেছে।