শিবপুর প্রতিনিধি>
মায়ের বিরুদ্ধে তার কন্যাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ায় ড্রামের পানিতে ফেলে এই সন্তানকে হত্যা করেছেন মা। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধনাইয়া গ্রামে মৃত জয়নালের বাড়ীতে।
নিহত শিশু সুমাইয়ার বাবা মুক্তার হোসেন, বাড়ী বেতাগিয়া, পেশায় সরকারি চাকরিজিবী, মা গৃহিণী সাহিদা আক্তার। মায়ের হাতে শিশু কন্যা হত্যার এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশু হত্যাকারী মা সাহিদা আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে স্থানীয়রা।
২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাড়ীতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ীর বাহিরে তালা অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহত শিশু সুমাইয়ার মামা মোহসীন জানান, আমাদের বাড়ী জয়নগরে এটা আমাদের নানীর বাবার বাড়ী। গত ২৪ নভেম্বর নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আমার বোন সাহিদা কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। হাসপাতাল থেকে এসে এই বাড়ীতে থাকেন।
গতকাল সোমবার সকালে বাড়ীতে এসে দেখি আমার বোন সাহিদা বারান্দায় পড়ে আছে। শিশু সুমাইয়াকে খোঁজাখুঁজির পর ড্রামের পানির মধ্যে তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে মৃত অবস্থায় ড্রামের পানি থাকে তুলি। এসময় বাড়ীতে আমার বোন ছাড়া কেউ ছিলেন না। পরে আমার বোন সাহিদাকে জিজ্ঞাসা করলে কিভাবে পানিতে পড়লো সুমাইয়া সে কিছু বলতে পারেনা।
নিহত শিশু সুমাইয়ার বাবা মুক্তার হোসেন জানান, আমার স্ত্রী সাহিদার বাচ্চা হওয়ার পর থেকে আমার নানা শ্বশুরের বাড়ীতে ছিল। গতকাল অফিসে ছিলাম খবর পেয়ে ওই বাড়ীতে গিয়ে জানতে পারলাম শিশুর জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি হলে মাথায় পানি দিতে গিয়ে ড্রামের পানিতে পরে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।