রাজশাহী প্রতিনিধি>
রাজশাহী বিভাগের মোটা চাল ও আটার বাজার দর এবং অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ এর কার্যক্রম বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় রাজশাহী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরীর কোটে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন তার লিখিত বক্তব্যে জানান,
দেশে বন্যা, আন্তজার্তিক পরিস্থিতি, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আপনারা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন। দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি রোধে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকার চাল আমদানির ক্ষেত্রে সকল প্রকার শুল্ক প্রত্যাহার করেছেন। সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাগে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ হতে চাল আমদানি করছেন। সরকারিভাগে ৪,০০,০০০ মেঃ টন চাল আমদানি করবে। যার মধ্যে ভারত থেকে ৫০০০০ মেঃ টন চাল চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে চালের জাহাজ খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই খালাস সম্পন্ন হবে। রাজশাহী বিভাগে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৩৫৫০০০ মেঃ টন চাল আমদানি অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪৯২৯ মেঃ টন চাল রাজশাহী বিভাগে আমদানি করা হয়েছে। সরকার মহানগর, জেলা, শ্রমঘন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে খোলাবাজারে (ওএমএস) কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে চাল বিক্রয় কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছেন। সরকারের এ যুগোপযোগী কার্যক্রমের ফলে বাজারে চাল ও আটার মূল্যের উপর প্রভাব পড়েছে এবং চাল ও আটার মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। আমদানির ফলে দেশে খাদ্যশস্যের মজুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনকল্যাণমুখী সরকারের কার্যক্রমের জন্য মাননীয় খাদ্য উপদেষ্টা মহোদয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালক, সংগ্রহ মহোদয়সহ খাদ্য বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে ধন্যবাদ জানাই।
আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ১২/০১/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ হতে উপজেলা পর্যায়ে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রয় কার্যক্রম বৃদ্ধি করার ফলে চাল ও আটার মূল্য কিছুটা নিম্নমুখী। ইতোমধ্যে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে চালের দাম কেজি প্রতি ১.০০ টাকা এবং আটা কেজি প্রতি ৩.০৭ টাকা হ্রাস পেয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মোটা চাল ও আটার দর আরও হ্রাস পাবে মর্মে আশা করা যায়। চালের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় সংগ্রহ কার্যক্রমও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ কার্যক্রম শতভাগ সফল হবে মর্মে আশা করা যায়। এবিষয়ে খাদ্য বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া উপস্থিত ছিলেন।