বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারের পাশে নিউ ভাই ভাই বেকারির নামে রিপোর্ট করায় এলাকার কতিপয় কিছু হলুদ সাংবাদিক কর্তৃক মূল ধারার সাংবাদিকদের হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলায় খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিবেদনের জন্য বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উপর প্রতিবেদনের জন্য সম্পাদক কর্তৃক এস্যাইনমেন্ট নিয়ে তথ্য সংগ্রহ কাজের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকরা বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে যান। তারই ধারাবাহিকতায় বুধহাটার নিউ ভাই ভাই বেকারিতে যেয়ে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের খাবার অনুপযোগী কাপড়ের ব্যবহার করার রং যার প্যাকেটে বিএসটিআই এর কোন লোগো নাই। এগুলো দিয়ে দেদারসে বাহারি রকমের বেকারির পণ্য উৎপাদন করছে। এমনকি অত্র প্রতিষ্ঠানটিতে বিএসটিআই এর কোন অনুমোদন নাই। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে বেকারির মালিক স্থানীয় কিছু কথিত সাংবাদিকদের সহযোগিতায় তার প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত কেমিক্যাল কালার দিয়ে বেকারির পণ্য উৎপাদন করছে যা খেয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়টি বেকারির মালিক কে জানালে তিনি বলেন যে আপনারা আমার কি ক্ষতি করবেন এলাকার বিভিন্ন সাংবাদিকদের আমি মাসোহারা দিয়ে থাকি এজন্য তারাই আমাকে দেখে রাখেন। তখন আমরা প্রতিষ্ঠানটির নাম ঠিকানা নিয়ে চলে আসতে চাইলে তখন সে আমাদেরকে জোর করে ৫০০ টাকা দিতে চায় কিন্তু আমরা টাকাটা ফেরত দেই। পরদিন এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিক রিপোর্ট করার জের ধরে এই কতিপয় হলুদ সাংবাদিক তারা এ সমস্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নিজেদের বানানো ভূয়া অনিবন্ধিত অনলাইনে নিজেদের তৈরি করা ভোকাল দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে করে বুঝা যাচ্ছে এই কতিপয় সাংবাদিকরা এ সমস্ত এলাকার অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো টাকার বিনিময়ে সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে চালানোর সহযোগিতা করে আসছে। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে জানা গেছে, এই কথিত সাংবাদিকদের কারণে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কোন সংবাদ প্রকাশিত হয়না। যদি কোন সিনিয়র সাংবাদিক বা গণমাধ্যম কর্মীরা এ অঞ্চলে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় তবে যেকোন ভাবেই হোক তাদের হাতে হেনেস্থা হতে হয়। এতে মূলধারার গণমাধ্যম কর্মীরা রীতিমতো অপমানিত হয় যার কারণে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ ধামাচাপা পড়ে যায়। যার কারণে স্থানীয় প্রশাসনের চোখে এ সমস্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য প্রমাণ থাকে না। এতে করে অবৈধ প্রতিষ্ঠানে দিনের পর দিন অস্বাস্থ্যকর পণ্য সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা যাচ্ছে। একদিকে দিন দিন অবৈধ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে কথিত সাংবাদিকরা মাসে মাসে মাসোহারা নিয়ে তাদেরকে সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। এ বিষয়ে এ অঞ্চলের কথিত সাংবাদিকদের তালিকা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এসকল অবৈধ প্রতিষ্ঠান গুলির প্রতি সকল প্রশাসনের সরকারিভাবে কঠোর নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা।