সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পর এবার মারা গেলেন অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী শারমিন খাতুনও (২৫)।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ।
এর আগে শারমিন খাতুনের স্বামী আব্দুল কাদের গত ১জুন বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আব্দুল কাদের কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে।
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত ২৮ মে ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে ছোটবোনের স্বামী সবুজ হোসেনের দেয়া পেট্রোল-আগুনে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন ওই গ্রামের আব্দুল কাদের (৩০), কাদেরের স্ত্রী শারমিন খাতুন (২৫) ও শিশু কন্যা ফাতেমা (৭)।
চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন জানান, ‘স্বামী আব্দুল কাদেরের মতোই শেষ পরিণতি হলো স্ত্রী শারমিন খাতুনের। কাদের, তার স্ত্রী ও কন্যা অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কাদের ও তার স্ত্রী মারা গেলেন। এখন তাদের একমাত্র শিশু কন্যা ফাতেমা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। শুনেছি, তার অবস্থাও গুরুতর। এই জঘন্য অপরাধকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি আমি,যোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
আব্দুল কাদেরের বোন ও পেট্রল নিক্ষেপকারী সবুজ হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন জানান, তার স্বামী সবুজ তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এজন্য তিনি স্বামীর ঘর করতে চাইতেন না। কিন্তু সবুজ তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিত। এসব নিয়ে ভাই কাদের ও স্বামী সবুজের মধ্যে ঝামেলা চলছিলো।
তিনি আরও জানান, তার স্বামী যশোরের শার্শা উপজেলার নারায়নপুর পোড়াবাড়ি এলাকার সবুজ হোসেন ২৮ মে গভীর রাতে আব্দুল কাদেরের টিনশেডের ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা ওই ৩ ব্যক্তির উপর পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মারাত্মকভাবে ঝলসে যায় তার ভাই,ভাবী ও ভাইঝি । তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানেই পহেলা জুন বৃহষ্পতিবার মারা যান ভাই আব্দুল কাদের। আর আজ বুধবার মারা গেলেন ভাবী শারমিন খাতুনও।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘আব্দুল কাদেরের বোন সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি সবুজকে আটকের চেষ্টা চলছে।’