বাসস : বাংলাদেশ আগামী ২৭ জুলাই ১০০ স্থানীয় যুবক ও সারা বিশ্বের ১৫০ জন যুবককে নিয়ে ‘ঢাকা-ওআইসি যুব রাজধানী ২০২০’ উদযাপন করতে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ১০ জন ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। ওআইসি’র মহাসচিব ছাড়াও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং গাম্বিয়াসহ বেশ কয়েকটি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
কাতারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোহার কাছ থেকে ঢাকার কাছে ওআইসির যুব রাজধানী চাবি হস্তান্তর করবেন। পরে, ‘সমতা ও সমৃদ্ধি : সহিষ্ণু ভবিষ্যতের জন্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘সহিষ্ণু যুব নেতৃত্ব সম্মেলন’ শীর্ষক দু’দিন ব্যাপী এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়েএ তথ্য জানানো হয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) অধিভুক্ত সংস্থাইস্তাম্বুল ভিত্তিক ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ)যুব খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারেরগতিশীল এবং সুদৃঢ় নেতৃত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসাবে ঢাকাকে ‘ওআইসি যুব রাজধানী ২০২০’ হিসাবে ঘোষণা করেছে ।
বাংলাদেশ আশা করছে, ওআইসির সদস্য দেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৫০ জন যুবক এ সম্মেলনে যোগ দেবে এবং বিভিন্ন যুব প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
তাদের মধ্যে ১০ জনকে তাদের উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা, মানবতাবাদ, ব্যক্তি সাফল্য এবং পরিবেশগত কর্মকান্ডের জন্য একটি জুরি কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের জন্য নির্বাচন করা হবে।
সম্মেলনের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ ‘সহিষ্ণু সমাজ গঠনের জন্য যুব ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুব অংশগ্রহণকারীরা সম্মেলনের সময়কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে ভার্চুয়াল সফরে যোগ দেবেন এবং গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী দাউদা জালো ‘রোড টু ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)’ সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
সম্মেলনের শেষে স্বেচ্ছাসেবা ও মানবিকতার ভিত্তিতে যুবকদের আরও কর্মের জন্য একটি ‘দলিল’ গৃহীত হবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা যুবসমাজের কর্মকান্ডে নেতৃত্ব নিতে চাই যাতে অন্যান্য ওআইসি সদস্য দেশগুলোও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে।’
যুব প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুব রাজধানী হিসাবে ঢাকাকে নির্বাচন করার ফলে বিশ্বব্যাপী, বিশেষত যুবকদের মধ্যে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিফলিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘ওআইসির যুব রাজধানী ২০২০’ উদযাপনের জন্য আটটি ইভেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচিবিশ্বব্যাপী, বিশেষত যুবকদের মধ্যে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিফলিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ গত বছরের মে থেকে এই সুযোগ লাভের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি জমা দিয়েছিল।
অবশেষে, আইসিওয়াইএফ কাজাখস্তান ও তিউনিসিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করেছিল। অক্টোবরে আইসিওয়াইএফ প্রেসিডেন্ট তাহা আয়াহানের নেতৃত্বে আইসিওয়াইএফ’র একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে বাংলাদেশ সফর করেন।
অবশেষে, গত ২২ শে ডিসেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং আইসিওয়াইএফ-এর মধ্যে একটি ‘প্রতিশ্রুতি প্রোটোকল’ স্বাক্ষরিত হয়। ফলে ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে ‘ওআইসির যুব রাজধানী ২০২০’ ঘোষণা করা হয়।