প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্বের অবহেলায়, বিদ্যালয় নর্দমায় পরিণত।
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
২৬নং চর মানিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুরাদ। তার বিরুদ্ধে অবিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন।
এই বিদ্যালয় স্থপতি হয়. ১৯৪৮ সালে।
পূর্ব যে সকল শিক্ষক ছিল তারা ছাত্র / ছাত্রীদের খুব ভালো ভাবে লেখা পড়া করিয়েছেন। মুরাদ স্যার আসার পরে দিনে দিনে বিদ্যালয়ের অবনতি দেখা যাচ্ছে।
এই বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষক পাঠদানের জন্য থাকলেও নিয়মিত এক জন আসে. এক জন ট্রেনিং এ আছে জানা যায়। অবিভাবকরা আরো বলে, মুরাদ স্যার এর বাড়ি চর ফ্যাসন হওয়ার কারনে প্রভাব খাটিয়ে চলে।
মাসে দুই এক দিন বিদ্যালয়ে আসে তার হাজিরা বহিতে স্বাক্ষর করতে।
বিদ্যালয় পরিদর্শনের পরে দেখা যায় ১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় ও জাতীয় পতাকা উত্তলন করেনি প্রতিষ্ঠান টিতে।
আঃ খালেক নামে সহকারী শিক্ষকে পাওয়া গেলো অফিস কক্ষে ঘুম অবস্থায়, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সে শারীরিক অসুস্থ, এবং প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেনা ঠিক মতো অসুস্থতার কারনে।
ঐ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যান্ত
ছাত্র / ছাত্রীদের
রেজিষ্ট্রেশন ভর্তি সংখ্যা মোট ২৫৩ জন হলে ও।
১ ডিসেম্বর ২০২২ইং সকাল ১০ঃ৩০ মিনিট এর সময় দেখা যায় এক জন শিক্ষার্থী ও নেই বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়। অবিভাবকরা আরো বলেন মুরাদ স্যার যে দিন স্কুলের আসে সে দিন স্কুলে বিভিন্ন ধরনের খাওয়ার আয়োজন করে. খেয়ে চলে যায়।
বাচ্চাদের লেখা পড়ার বিষয়ে কোন দায়িত্ব নেই তার।
এবং বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা পরিদর্শনে দেখা যায় এ যেন নর্দমা। প্রধান শিক্ষক মুরাদ দুই মাসে ছুটি নিয়েছে বলে জানায়, সহকারী শিক্ষক আঃ খালেক।কিন্তু,শিক্ষক হাজিরা বহিতে স্বাক্ষরে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক ৬ মাসের মতো অনুপস্থিত।
অবিভাবকদের বাদী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর কাছে, এই প্রধান শিক্ষকে স্কুল থেকে বদলি করা হউক, না হলে আমাদের সন্তাদের পড়ালেখা হবে না এই স্কুলে এবং প্রধান শিক্ষক যখন সুস্থ ছিল তখন ও আসত না বিদ্যালয়ে।
প্রধান শিক্ষক এর সাথে ফোন যোগাযোগ হলে তিনি অসুস্থতার কথা বলে ফোন কেটে দেয়।