আসাদুজ্জামান খান কামাল ::
‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই, পিতা, মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি।’ সেদিন বাঙালি জাতিও তাকে নিজের করে নিয়েছিল। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৮১ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হাল ধরে দলকে একত্রিত করলেন এবং সারা বাংলাদেশ বিচরণ করে মানুষের মধ্যে মিশে যান। বঙ্গবন্ধুর মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষকে একত্রিত করলেন। সারা বাংলাদেশের মানুষ যেখানেই শেখ হাসিনাকে পেয়েছে বৃদ্ধা মায়েরা তাকে জড়িয়ে ধরে আপ্লুত হয়ে বলতেন এসেছে, শেখের বেটি এসেছে, নিশ্চই আমরা আবার এগিয়ে যাব। শেখ হাসিনা জানেন এদেশের মানুষ কী চায়। বাংলাদেশের কোন জেলার কোন উপজেলায় পাশ দিয়ে কি নদী প্রবাহিত; ঐ এলাকায় মানুষের কি সমস্যাÑতা তিনি বলে দিতে পারেন, কারণ বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ হাসিনা। তিনি সারা বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে রয়েছেন।
কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ছয় দফা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। জাতির পিতা কি কি করতে চেয়েছিলেন তা থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শিক্ষা নিয়েছিলেন এবং তাঁর নীতি আজকে তিনি অনুসরণ করে চলছেন। পিতার মতো তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি কখনো পিছপা হননি; দাবি আদায়ের মাধ্যমে আন্দোলন সফল করেই ফিরেছেন। রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি বারবার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সফল হয়েছেন।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি, গঙ্গার পানি চুক্তি, সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি, দীর্ঘদিনের স্থল সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান, ছিটমহল সমস্যার সমাধান করে ছিটমহলবাসীর দুর্ভোগের লাঘব করা, আইসিটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন ইত্যাদি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা যেমন তাকে অবিস্মরণীয় নেতায় পরিণত করেছে ঠিক তেমনি বিশ্বব্যাংকের অন্যায় আচরণ ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে পদ্ধাসেতু নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ বিশ্ব রাজনীতি-অর্থনীতির বিশ্লেষকদের কাছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে কঠিন প্রতিজ্ঞাদীপ্ত করে তোলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫-পরবর্তী সবচেয়ে দৃঢ় মনোবলের সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি টানা ৪১ বছর ধরে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৮ বছরের বেশি সময় চতুর্থবারের মতো সরকার পরিচালনা করেছেন। দেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর পাশাপাশি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ১৩ বছর আগের মাথাপিছু আয়কে চারগুণের বেশি বাড়িয়ে ২৮২৪ ডলারে উন্নীত করেছেন। পেয়েছেন ৪০টির বেশি আন্তজার্তিক পদক ও স্বীকৃতি। লিখেছেন চল্লিশটির অধিক বই। এক জীবনে বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদও এত সাফল্য অর্জন করতে পারেননি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব অনন্য ও অতুলনীয় অর্জনের পিছনে রয়েছে নানান চড়াই-উৎরাই ও স্বজন হারানোর বেদনার দীর্ঘ সংগ্রামের সাহসী জীবন। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীসহ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার প্রচেষ্টা হয়েছিল আমার মনে হয় আল্লাহ তাকে নিজ হাতে রক্ষা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করবেন বলেই হয়তো আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানোসহ কমপক্ষে ২০ বার তাঁকে হত্যা করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তার পিছু ছাড়েনি। কিন্তু জাতীয় জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাৎক্ষণিক ও যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিনি সময়ক্ষেপণ করেন না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে বৈষম্যহীন একটি সমাজ ব্যবস্থা, যেখানে জাতপাতের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না, সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ থাকবে না। দেশের উত্তর দক্ষিণ বা পূর্ব পশ্চিমে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। নারী পুরুষের মধ্যে সমঅধিকার থাকবে। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জš§শত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণ পালন করতে পেরেছি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিু মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। মুজিব শতবর্ষে তিনি ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। স্বাধীনতার সুফল হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরের সুবিধা স¤পন্ন নগরে পরিণত করতে আমার গ্রাম-আমার শহর কর্মসূচীর মাধ্যমে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
কোভিড-১৯ মহামারী মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন জীবিকাকে মারাÍকভাবে ব্যাহত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ অবস্থা সফলভাবে মোকাবিলা করছে। জাপানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিকেই এশিয়া প্রকাশিত ‘নিকেই কোভিড-১৯ রিকোভারি সূচক’-এর তথ্য মতে, করোনা মহামারি সামলে উঠার ক্ষেত্রে বিশ্বের যে দেশগুলো সবচেয়ে ভালো করছে, সেই তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার উপরে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সময়োপযোগী হস্তক্ষেপের ফলে এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চিন্তা করতেন পুরুষের সঙ্গে নারীকেও এগিয়ে যেতে হবে। সে জন্য তিনি পুলিশ বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে নারীদের অন্তর্ভূক্তি করেছেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নারী শিক্ষায় ব্যাপক সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ হতে ইউনেস্কো পিস ট্রি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর ভূমিকার জন্য এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় এবং ইউএন উইমেনের পক্ষ থেকে প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কারণে বাংলাদেশকে সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত করা হয়। পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত সাফল্যের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ইউএনইপি হতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কারণে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অত্যন্ত সফলতার সাথে অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগে, ২০১৩ সালেই অর্জন করে বিশ্বকে তাক লগিয়ে দেয় বাংলাদেশ। এসডিজি লক্ষমাত্রাও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জন করবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসডিজি অর্জনের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার দেওয়া হয়। দারিদ্র দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্ব সংস্থার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক নিউ ইয়র্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার প্রদান করেন।
ব্যক্তি জীবনে আমি সৌভাগ্যবান কারণ স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকার বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছিলাম আর তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে দেশ সেবায় কাজ করতে পারছি। ওয়ান ইলেভেন-এর সময় তৎকালীন সরকার আমেরিকা থেকে যখন তাকে দেশে ফিরতে দিচ্ছিল না তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশে ফিরে যাবই’ এবং তিনি দেশে ফিরেছেন। সেদিনও শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণ বাধভাঙা স্রোতের মতো সমবেত হয়েছিল। তিনি ফিরে আসলে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার এলাকার হোম ওয়ার্ক তুমি কেমন করেছো?’ জবাবে আমি তাকে বলেছিলাম, ‘এই আসনটি (ঢাকা-১০ বর্তমানে-১২) আমরা আপনাকে উপহার দিতে পারব।’
তখন উনি আমাকে বলেছিলেন ‘কাজ করে যাও।’ কিন্তু তিনি যে আমাকে নমিনেশন দেবেন, সেটা তখন আমি ভাবতে পারিনি। নির্বাচনের পরে তিনি আমাকে বিনিয়োগ বোর্ডের সদস্য এবং প্রেস কাউন্সিল এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। ফলে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও গণমাধ্যমের বিষয়ে আমি সম্যক ধারণা পাই। তাছাড়া তিনি আমাকে যে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন আমি তা সম্পূর্ণরূপে পালন করতে চেষ্টা করেছি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে তিনি আমাকে প্রতিমন্ত্রী করলেন। আমার ধারণা ছিল না যে আমি মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হবো। উনাকে সালাম করতে গেলে উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি বিস্মিত হয়েছ?’ আমি বলেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি বিস্মিতই!
তিনি বললেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে লাখো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে; মানুষ তাদের স্বজনদের হারিয়েছে। এ মুক্তিযুদ্ধকে আমরা ভুলতে পারব না। তুমি একজন সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা; এজন্যই তোমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছি।’ তারপর বের হয়ে আসার সময় তিনি আমাকে বলেন, আজকে থেকে তুমি সারা বাংলাদেশ ঘুরবে, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি উপজেলায় কী কী সমস্যা আছে ঘুরে ঘুরে দেখবে এবং এগুলি নিয়ে কাজ করবে। তিনি আমাকে দেশের কোন প্রান্তে কোন ধরনের সমস্যা বিদ্যমান এবং তার সমাধান প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দেশনা দিলেন। আমি তাঁর নির্দেশনা মতো সারাদেশ ঘুরছি। আমার বাসাতেও যারা আসে আমি মধ্যরাত পর্যন্ত তাদের কথা শুনি; চেষ্টা করি সকলের সমস্যার সমাধান করতে।
বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে তিনি যতটা অনমনীয় আবার মানুষের সেবায় তিনি ঠিক ব্যতিক্রম। ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট যখন রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমার হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল, তখন শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষায় সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমরা কি ভুলে গেছো ১৯৭১ সালের কথা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তোমরা কি পার্শ—বর্তী দেশে আশ্রয় নাওনি? দেশের ১৬ কোটি মানুষকে যদি খাওয়াতে পারি তাহলে এদেরকেও খাওয়াতে পারব। আসতে দাও; অন্তত জীবনটাতো বাঁচবে ওদের।’
আজ বিশ্ব বিবেক শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘মানবতার জননী, স্টার অব দ্য ইস্ট’। বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০০৮ সালে বলেছিলেন, বদলে দিবেন বাংলাদেশকে। তিনি যথার্থই বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। তিনি যতদিন নেতৃত্বে থাকবেন ততদিন দুর্বার গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এদেশকে আর পিছনে ফিরে যেতে হবে না। একমাত্র তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে। তার দূরদর্শিতা দক্ষতায় বারবার তিনি তা প্রমাণ করেছেন।
লেখক: জাতীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়