দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে

ঢাকা

নিখাদ বার্তাকক্ষ: শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কিছু অপশক্তি মাঠে নেমেছে। তারা এখনও নানাভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবব্ধভাবে সতর্ক থাকাতে হবে।
আজ শুক্রবার শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ সব কথা জানান। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেদিন হালবিহীন নৌকা পরিচালনার আত্বিক ও মানসিক শক্তি কেউ দেখাতে পারেনি। আমি কাউকে ছোট করতে চাই না তবে বলতে চাই আওয়ামী লীগের কর্মীরা কখনও মাথা নোয়ায় না। কর্মীরাই এসে হাল ধরে এটা তারা বার বার প্রমাণ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তখন কিছু অপশক্তি মাঠে নেমেছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জনগণের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। আজকে একটি অপশক্তি মাঠে নেমেছে আমাদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার একটি হরতাল পালন হয়ে গেলো বাংলাদেশ, কেউ টের পেলো না। রাস্তায় যানজট। আমাদেরকে খুব সর্তক হতে হবে। ওরা আবার নেমেছে। ওরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিবে না। সে কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা নেমেছে। আপনারা পাকিস্তানি প্রেসক্রিপশনে চলছেন। এদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাড়াতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যখন বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। যাদের মাথা গোজার ঠাঁই নেই, সেই গৃহহীণ মানুষেদের ঘর দেওয়া হচ্ছে মানুষরে কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সেই মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা আবার মাঠে নেমেছে। আমাদেরকে সাহসিকতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করতে হবে।
এ আলোচনা সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী, পরাজয়ের গ্লানি চিরস্থায়ী। এই পরাজয়ের গ্লানি মোচন করা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার জন্য ৭১ এর পরাজিত শক্তি জাতির পিতাকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর প্রথম স্বপ্ন ছিল এদেশের স্বাধীনতা। দ্বিতীয় স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের মুক্তি। তাই স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের ডাক দেন। জাতির পিতা ও বঙ্গন্ধুপরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্য কারিগর ও পরবর্তীতে হত্যাকারীদের রক্ষাকারী ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতকদেরও বিচার করতে হবে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সুলতানা শফির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও উপ-কমিটির সদস্য সচিব মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা কৃক প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *