নিখাদ বার্তাকক্ষ : প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, জ্বালানির দক্ষ, সাশ্রয়ী ব্যবহার ও বহুমুখীকরণ জ্বালানি নিরাপত্তায় কার্যকর অবদান রাখবে। তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যার মাধ্যমে তাঁর স্বপ্ন ও আকাঙ্খাকেও হত্যা করা হয়েছে।
তৌফিক-ই-এলাহী আজ মঙ্গলবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করলেও আমাদেরকে দমাতে পারেনি। এই বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও জ্বালানি তেল, গ্যাস ও এলপিজির সরবরাহ নির্বিঘœ করা হয়েছে। সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি আস্থা রাখুন, আমরা যেকোন সংকটকেই মোকাবিলা করতে পারবো। খুব দ্রুতই এই সংকট কেটে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, আমাদের জাতীয় জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন ৯ অগাস্ট। জাতীয় উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধিকে বদলে দেওয়ার মতো একটি ঘটনা ঘটেছিল এদিন। ১৯৭৫ সালের ৯ই অগাস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুজাতিক শেল অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে ৫ গ্যাসক্ষেত্র তিতাস, বাখরাবাদ, হবিগঞ্জ, রশিদপুর ও কৈলাশটিলা মাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং দিয়ে কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। যার সুফল এখনো পাচ্ছে দেশের মানুষ। সেই ৫ গ্যাসক্ষেত্র থেকে এখনো মোট গ্যাসের প্রায় ৩০ শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে।
ভাচ্যুয়াল সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মোল্লা আমজাদ হোসেন।