বিএনপির মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের দল বিএনপি। লুটপাটের জন্যই তারা জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দুর্নীতি আর বিএনপি সমার্থক বলেই মানুষ মনে করে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় করোনা সংকটে বিএনপি নেতারা আজগুবি তথ্য সরবরাহ করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান এবং প্রতিনিয়ত সততায় দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। দুর্নীতিবাজ যেই হোক, দলীয় পরিচয়ের হলেও তাকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু করোনা সংকটেও দায়িত্বশীল আচরণ না করে বিএনপি তাদের চিরাচরিত নালিশের রাজনীতি আঁকড়ে ধরেছে। আর অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছে অবিরাম।
এ সময় বিএনপিকে বিভাজন ও বৈরিতার রাজনীতি পরিহার করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপির কথা শুনে মনে হয়, পূর্ণিমার রাতেও তারা অমাবস্যার অন্ধকার দেখতে পান। বিএনপিকে বিভাজন ও বৈরিতার রাজনীতি পরিহার করে মানুষ বাঁচানো এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লড়াইয়ে আবারও সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি। করোনাভাইরাসের মহামারীতে নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক এ সংকটের শুরু থেকে সরকার সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এখন প্রায় ৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। জেলা পর্যায়ে কোভিড-১৯ হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়েও প্রস্তুতি রয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৭২ হাজার ৬২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার শতকরা ৪৪ দশমিক ৭২ ভাগ ও মৃত্যুর হার শতকরা ১ দশমিক ২৬। মৃত্যুর এ হার ইউরোপ আমেরিকা এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতের থেকেও অনেক কম। যদিও সরকার একটি মৃত্যুও প্রত্যাশা করে না। তিনি বলেন, বিএনপি শুধু মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কথা বলে, অথচ এত সংখ্যক লোক সুস্থ হচ্ছে এটা তাদের চোখে পড়ছে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে ২ হাজার ডাক্তার, ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। বহু দেশ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের স্বাস্থ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারও সীমাবদ্ধতা নিয়ে করোনা সংকট মোকাবেলার সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। সুরক্ষা সামগ্রী বাড়াচ্ছে, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ও ডাক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। সরকারের সমন্বিত দক্ষতার কারণে এসব করা সম্ভব হচ্ছে। অথচ বিএনপির কার্যক্রম শুধু বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।