নিজস্ব প্রতিবেদক -রুপসায় পরিবারের সদস্য ও নিজ ভাই কতৃক আপন মৃত তিন ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী,সাবেক বিএনপির যুদ্ধাপরাধী ও পালাতক সন্ত্রাসী, জালিয়াতি,প্রতারণা ও দ্বৈত দেশের নাগরিকত্বসহ একাধিক জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে,খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার ০৫ নং ঘাটভোগ ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ড এর ডোবা নামক এলাকায় মৃত অনন্ত দাসের ০৫টি পুত্র মৃত (ভগিরত দাস,ননী গোপাল দাস,গোলক দাস) জীবিত অভিযুক্ত মনোরঞ্জন দাস (৬৯) ও ছোট অখীল দাস (৬৪)।মৃত অনন্ত দাসের এই মৃত ৩টি পুত্রের মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে তারই জীবিত পুত্র মনোরঞ্জন দাসের (৬৯) ওপর। আর এই ৩টি মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে অভিযুক্ত মনোরঞ্জন আপন ছোট ভাই অখীল দাস (৬৪) ও অন্যান্য ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা।মৃত গোলক দাসের পুত্র ফাল্গুনী দাস(৩৩) বলেন,অভিযুক্ত মনোরঞ্জন দাস আমাদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য। আমাদের কাছে ভগবানের পরই তিনি ছিলেন।তার অপকর্মের ভার আর সইতে না পেরে আজ তার সম্পর্কে আপনাদের সামনে বলতে বাধ্য হয়েছি।ডোবা মধ্যপাড়ার গৌরঙ্গ দাসের পুত্র পশুপতি দাস(৫৮) বলেন,মনোরঞ্জন দাস তার মৃত ভাইদের সরলতার সুযোগ নিয়ে নিজ নামে জাল দলিল করে নিয়ে তাদের সর্বস্ব লুটে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে।আমার কাকা এই মনোরঞ্জন দাসের কু-কর্মের শেষ নেই।আমার বাবাসহ কাকাদের চরম বিশ্বাসঘাতকতায় মানসিক যন্ত্রনা দিয়ে জীবন কেড়ে নিয়েছে।গৌরঙ্গ দাসের অন্য পুত্র প্রদীপ দাস(৪২)বলেন,তৎকালীন বিএনপির যুদ্ধাপরাধী এই সন্ত্রাসী আওয়ামী ক্ষমতায় আসার পর এই বাংলা মায়ের দেশ থেকে অন্যের সম্পত্তি জালিয়াতি করে বিক্রি করে ভয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যান।সেখানে দীর্ঘদিন বসবাসরত অবস্থায় তিনি তার প্রতারণা না কমিয়ে আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠেন।সেখান থেকেও বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার জাল বুনে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন আবারও বাংলাতে।এখানে এসে তিনি পূর্বের ন্যায় একি কাজ করে শুরু করে যাচ্ছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বলেন,বার বার প্রতিরোধ করা হলেও এই অপরাধ গুলো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না।র্কু-কর্ম তার জন্ম থেকেই শুরু আর শেষ কবে হবে সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।এই মনোরঞ্জন দাস তৎকালীন বিএনপির সাবেক যুদ্ধাপরাধী থাকাকালীন সময়ে অন্যের সম্পত্তি জালিয়াতি করে নিজ নামে দলিল করে বহু মানুষকে আজ রাস্তায় বসিয়েছে।তার কথা ও কাজে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করলে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক হুমকি দিয়ে অপরাধ গুলো ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।শুধুমাত্র মনোরঞ্জন দাসের নিজের সকল অপরাধ ঢাকতে অতি চালাকির সাথে অর্থের জোরে দ্বৈত দেশের সম্পত্তি ও নাগরিকত্ব লাভ করেছেন।বিশ্বাসঘাতকতার প্রভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে নানান মুখী কৌশল অবলম্বন করে নিখুঁতভাবে অভিনয় করার ফলে আজ আমরা বড়ই অসহায়।এমতাবস্থায় এলাকার সচেতন মহল, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করে বলতে চাই,তদন্ত সাপেক্ষে মনোরঞ্জন দাসের এই সকল অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের জন্য দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।