নিখাদ বার্তাকক্ষ: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে। এজন্য পাড়া-মহল্লা পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন ভাষানটেক থানার অন্তর্গত ৯৫ নং ওয়ার্ড ও ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কারো জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবো না। কিন্তু সেদিন তিনি লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে ঘরে ফিরেছিলেন। কিন্তু সরকারের পতন ঘটাতে পারেননি। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সেই সময় আগুন-সন্ত্রাস করেছে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। নিরীহ মানুষের গায়ে প্রেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের আন্দোলন মানেই আগুন-সন্ত্রাস।
বিএনপির নেতা কে ? কার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে আসবে ? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তারেক জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। যে দলের নেতার ঠিক নেই। সেই দল নির্বাচনে আসবে কিভাবে? এমন অবস্থায় বিএনপি নির্বাচনে গেলে দেশের জনগণ তাদের পক্ষ নেবে না। আমরা বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ম্যান্ডেট দেবে এবং তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
পদ্মাসেতু দৃশ্যমান হওয়ায় একশ্রেণির মানুষের বুক জ্বালা-পোড়া শুরু হয়েছে দাবি করে আব্দুর রহমান আরও বলেন, পদ্মাসেতু দৃশ্যমান। আগামী ২৫ তারিখে উদ্বোধন হবে। সেতু উদ্বোধনের কথা শুনেই এক শ্রেণির মানুষের বুকে জ্বালা-পোড়া শুরু হয়েছে। তাদের কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। পাকিস্তানের কথা শুনলে তাদের আনন্দে বুক ভরে যায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা শুনলে ওদের মন খারাপ হয়ে যায়। এরা ষড়যন্ত্র করছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজমত দেওয়ানের সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেষ মো. বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।