নিখাদ বার্তাকক্ষ: গাইবান্ধার স্থানীয় দৈনিক মাধুকর ও দৈনিক জনসংকেত পত্রিকার দুই সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন জাভেদ হোসেন নামে অপর এক সাংবাদিক। মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
আদালতের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী জাভেদ হোসেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের জেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক।
মামলার বিবাদীরা হলেন- দৈনিক মাধুকর পত্রিকার সম্পাদক কে এম রেজাউল হক ও দৈনিক জনসংকেত পত্রিকার সম্পাদক দীপক কুমার পাল। কে এম রেজাউল হক গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দীপক কুমার পাল সহ-সভাপতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সোলায়মান আহমেদ সিদ্দিকী বাবু।
তিনি এজাহারের বরাত দিয়ে বলেন, গত ২৪ মে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিন সেনের নামে ‘জনৈক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে’ এমন অভিযোগে মাধুকর ও জনসংকেত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদটি কে এম রেজাউল হক ও দীপক কুমার পাল তাদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। সংবাদটি অসত্য, ভিত্তিহীন ও মনগড়া। এমন সংবাদ প্রকাশে বাদীর সম্মানহানি হয়েছে। এ কারণে বাদী ন্যায় বিচার প্রার্থনায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী জাভেদ হোসেন বলেন, এই সংবাদে আমার সম্মানহানি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই নালিশে আদালতে মামলা করেছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার বিবাদী দীপক কুমার পাল বলেন, একটি সংবাদ সম্মেলন ও হুমকির ঘটনায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জেরে ক্ষিপ্ত হয় জাভেদ। ওই সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর (ভিকটিম) ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে স্ট্যাটাস দেওয়াসহ বিভিন্ন কমেন্টস (মন্তব্য) করে জাভেদ। জাভেদের এমন পোস্ট-মন্তব্য সাংবাদিকতার নীতি বহির্ভূত বলে মনে করি।
তিনি জানান, জাভেদের হুমকির ঘটনায় গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আলোচনা করে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এছাড়া ঘটনাটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় সবাই। এটি অনেক পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়। মূলত এই মামলা ঈর্ষান্বিত ও হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
এদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলার বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।