অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সহায়তা করাই হল আওয়ামী লীগের রাজনীতি। জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে আছেন। দেশ ও দলের দুর্দিনে তারাই বারবার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রামেও এই নেতাকর্মীরাই সবার আগে এগিয়ে এসেছেন।
শনিবার রাতে করোনাকালীন সংকট নিয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ এর নবম পর্বে বক্তারা এসব কথা বলেন। এবারের পর্বের বিষয় ছিল ‘করোনা সংকট মোকাবেলায় তৃণমূলের ভূমিকা’। অনুষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হয়। এছাড়া দৈনিক যুগান্তরহ আরও কয়েকটি গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজেও সরসরি দেখানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু এবং কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশ ও দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা বারবার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সমগ্র আন্দোলন-সংগ্রামে নেতাকর্মীরাই সবার আগে এগিয়ে এসেছেন। আমাদের দলীয় জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণের পাশে থেকেছেন। এখনও আছেন। করোনামুক্ত বাংলাদেশ হওয়ার আগ পর্যন্ত তৃণমূলের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে থাকবেন।
অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন এবং এখনও দিচ্ছেন। এছাড়া আমাদের সব স্তরের জনপ্রতিনিধিরা নিজস্ব এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তিগর উদ্যোগ মিলিয়ে মানুষের পাশে থাকছেন। আমরা কেন্দ্র থেকে সবকিছু সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বাভাবিক কারণে আমার ওপর দলের ভাবমূর্তি নির্ভর করে। দলের গ্রহণযোগ্যতা এবং পাশাপাশি সরকারের একটা ভাবমূর্তিও নির্ভর করে। সেই কারণে আমি প্রথম থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রামের রাজপথে, ৪১টি ওয়ার্ডের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে গিয়েছি।
আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, আমরা অনেক দুর্যোগ দেখেছি, কিন্তু করোনার মতো নতুন দুর্যোগ এবারই প্রথম দেখলাম। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সংকট মোকাবেলায় কাজ করছি। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে ছিলেন। আগামী দিনেও থাকবেন।
আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জনপদ পাইকগাছা কয়রায় করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আমরা কাজ করেছি। আজ এই করোনার সময়ে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুই উপজেলার নেতাদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, আম্পান ও করোনা মোকাবেলায় আমরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মী সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। সামনেও থাকবেন।
উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন, মহামারীর এই সময়ে ২৫ হাজার ৫৩৩ শতক জমির ধান কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা কেটে দিয়েছেন। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘরে ঘরে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।