নিখাদ বার্তাকক্ষ : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ২০ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পর এ দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন উপস্থিত ছিলেন।
প্রদীপের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত বলেন, ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের পক্ষে বোয়ালখালী থানার সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন এবং একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল জলিল সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২০ জুন যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেয় আদালত। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কারাগারে থাকলেও তার স্ত্রী চুমকি পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে আদালতে ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারন আত্মসমর্পণ করেন। নগরের কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার একটি ছয়তলা বাড়ি প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করার জন্য শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ওই বাড়িটি প্রদীপ দাশের শ্বশুর তার স্ত্রী চুমকি কারনের নামে দান করেন। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন কর্তৃক অর্জিত। আয়কর রির্টানে আসামি চুমকি কারনের কমিশন ব্যবসা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া পাঁচটি পুকুরে মাছের ব্যবসার যে আয় দেখানো হয়েছে তাও স্বামী প্রদীপ দাশের অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ভুয়া ব্যবসা প্রদর্শন করে দেখানো হয়েছে। প্রদীপ তার স্ত্রীকে কমিশন ব্যবসায়ী ও মৎস্য ব্যবসায়ী সাজিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।
অভিযোগপত্রে যেসব সম্পদের উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো নগরের পাথরঘাটায় একটি ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে সেমিপাকা ঘর, ৪৫ ভরি সোনার গহনা, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারে ফ্ল্যাট। মামলায় ২৯ জনকে সাক্ষী করা হলেও দুদকের পক্ষে ২৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছিল। তবে এই মামলায় প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিপরীতে উচ্চ আদালতে করা একটি আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় ওই দিন সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়নি। গত ৪ এপ্রিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ায় ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।