নিখাদ বার্তাকক্ষ: কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির উন্নয়ন কাজে বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত। সোমবার দুপুরে শুনানী শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (১) এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান এ আদেশ দেন। এসময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় আসামি জহিরুল হক মিলুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির উন্নয়ন কাজের জন্য ২০১৮ সালে সরকারি প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই সময় কার্যকরী কমিটিতে থাকা অবস্থায় এজেন্ডা ও সিদ্ধান্ত বহির্ভূতভাবে ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মিলনকে আহবায়ক ও ক্রীড়া সম্পাদক নুর উল্লাহ কায়সারকে সদস্য সচিব এবং সাবেক সভাপতি জহিরুল হক মিলু ও দফতর সম্পাদক দিদারুল আলমসহ ৭ সদস্য বিশিষ্ট ভুয়া প্রকল্প কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ও সভার ভুয়া রেজুলেশন জমা দিয়ে এই চার সাংবাদিক একে অপরের সাথে যোগসাজশ করে ইউনিটির গঠনতন্ত্রকে অমান্য করে চেক জালিয়াতি করে ব্যক্তিগত একাউন্টে টাকা জমা করিয়ে উত্তোলনকৃত অর্থ আত্মসাৎ করে। বিষয়টি ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ কার্যকরী পরিষদের সভায় সদস্যরা উপস্থাপন করলে চার সাংবাদিকের অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারটি জানাজানি হয়।
এরই প্রেক্ষিতে ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ওসমান হারুন মাহমুদ দুলালকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত উপ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহবায়ক বরাদ্দকৃত ৮০ হাজার টাকাসহ আয়-ব্যয়ের হিসাব না দেয়ায় সাবেক সভাপতি-সম্পাদকসহ জড়িতদের শোকজ করে কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি।পরবর্তীতে অভিযুক্ত ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাবিবুর রহমান খান বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতের বিচারক ইমরান হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআই ফেনীকে নির্দেশ দেন।পরবর্তীতে পিবিআই তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত আসামীদের প্রতি তখন সমন জারি করেন।