অনেকে চাকরি হারাবেন, যা আর ফিরে পাবেন না

অর্থনীতি আন্তর্জাতিক

বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির পরে যে পুনরুদ্ধার কার্যক্রম নেওয়া হবে, তা চলমান ডিজিটালাইজেশন এবং কাজের যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করবে। এই যান্ত্রিকীকরণ প্রবাহের ধারায় দুই দশক ধরে অধিক দক্ষতার কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমেছে মধ্যম দক্ষতার কর্মসংস্থান, যা গড় আয়ে স্থবিরতা ও বর্ধমান আয়ে বৈষম্য বাড়াতে অবদান রেখেছে।

চাহিদার পরিবর্তন, যার অনেকটাই করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বদলেছে। এটি পরবর্তীকালে মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি) পরিবর্তন ঘটাবে। অর্থনীতিতে সেবা খাতের অংশ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে আতিথেয়তা, ভ্রমণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সরকারের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সেবার অংশ কমে যাবে। কারণ, এই সেবাগুলো সংগঠিত ও বিতরণ করার পদ্ধতি ডিজিটালাইজেশনের কারণে পরিবর্তিত হবে। বিশেষ করে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় গেলেও সেই সব জায়গায় ছাঁটাই হওয়া কম বেতনের ও কম দক্ষতার ব্যক্তিরা আর তাদের কাজ ফিরে পাবে না।

যাহোক, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্যসেবা, রসদ সরবরাহ, গণপরিবহন, খাদ্যের মতো প্রয়োজনীয় সেবা সরবরাহকারী শ্রমিকদের চাহিদা বাড়বে। নতুন কাজের সৃষ্টি হবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে এই স্বল্প মজুরির কাজগুলো বেতন ও সুযোগ বাড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারবে। এই মন্দার কারণে মানহীন অনিশ্চিত কর্মসংস্থানগুলো যেমন খণ্ডকালীন শ্রমিক, ঠিকা শ্রমিক, একাধিক নিয়োগকর্তার শ্রমিক—এগুলো নতুন একটি পোর্টেবল সুবিধাজনক ব্যবস্থার দিকে পরিচালিত হবে। নতুন স্বল্পমূল্যের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য নতুন চাকরিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা দেখাতে হবে। বর্তমানে দূর থেকে কাজ করার ক্ষমতার ওপর হঠাৎ এই নির্ভরতা আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে যে ওয়াই-ফাই, ব্রডব্যান্ড এবং অন্যান্য অবকাঠামো একটি তাৎপর্যপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক জিডিটালাইজড অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় হবে।

লরা ডি আন্দেরা টাইসন: অধ্যাপক, হাস স্কুল অব বিজনেস, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া; যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের সাবেক চেয়ার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *