বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীর মতো একাত্তরের ঘাতক আশরাফুজ্জামান খান, ইঞ্জিনিয়ার জব্বার আর কানাডায় পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর ঘাতক নূর চৌধুরীসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী দন্ডিতদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এ কাজটি আমরা মুজিববর্ষেই সম্পন্ন করতে চাই’-এমন সংকল্প ব্যক্ত করলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। ২৪ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে টেলিফোনে ড. মোমেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ সংবাদদাতাকে আরও জানান, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে সম্প্রতি দীর্ঘক্ষণ টেলিফোনে কথা বলার সময়ে দন্ডিত ঘাতক রাশেদ চৌধুরী, আলবদর আশরাফুজ্জামান খান, ইঞ্জিনিয়ার জব্বার প্রসঙ্গ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেছি। এরও আগে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে দন্ডিত ঘাতক রাশেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের রায়ের কপিসহ যাবতীয় ডকুমেন্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেন। সব মিলিয়ে সংঘবদ্ধ চেষ্টায় রয়েছি আমরা।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বঘোষিত ঘাতক রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার এক বিশেষ নির্দেশে গত ১৭ জুন রাশেদ চৌধুরীর অ্যাসাইলামের সব নথি তলব করেছেন। এ তথ্য প্রকাশের পরই সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে মুজিববর্ষেই এই ঘাতককে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে এবং জাতি কলঙ্ক মুক্তির পথে আরেক ধাপ এগোবে বলে প্রবাসী বাঙালিরা মনে করছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় দন্ডিত অপর আসামি এ কে এম মহিউদ্দিনকেও তার অ্যাসাইলাম আবেদন নাকচ করে মার্কিন প্রশাসন ২০০৭ সালের ১৮ জুন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। [গতকালের বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রথম পাতায় ‘অবশেষে ফিরতে হচ্ছে ঘাতক রাশেদ চৌধুরীকেও’ শিরোনামের সংবাদে ভুলবশত : এ কে এম মহিউদ্দিনের স্থলে মোসলেহউদ্দিন ছাপা হয়।