স্টাফ রিপোর্টার
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তি এবং বিনা দোষে চাকরি হারানো সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বহালের দাবিতে গণজমায়েত, অবস্থান ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। এখন অবস্থান নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে।
আগামাীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবী মানা না হলে হাজার হাজার মানুষ আমরণ অনশনে যাবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার নীল নকশার অংশ হিসেবেই ২০০৯ সালে পরীক্ষিত সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। তাতে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয় বিডিআর সদস্যদের।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মমলার শুনানি রয়েছে। সেই মামলায় সকলের জামিনের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে থাকা সদস্যদের মুক্তির আলটিমেটাম দেয়া হয় এ সমাবেশ থেকে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, এটা কোনো বিদ্রোহ নয়, এটি কর্মকর্তাদের হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল।
পদযাত্রায় বাধাপ্রদান সম্পর্কে জানতে চাইলে রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর যারা চাকরিচ্যুত হয়েছে ও চাকরিচ্যুত সদস্যদের পরিবারের লোকজন এ আন্দোলন করছেন।