ঐশ্বরিয়া-আরাধ্যারও করোনা ধরা পড়েছে

আন্তর্জাতিক

মুম্বাইয়ের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর ছেলে অভিষেক বচ্চনের গতকাল করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর আজ অমিতাভের পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং নাতনি আরাধ্যারও করোনা ধরা পড়েছে।

মুম্বাইয়ের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর ছেলে অভিষেক বচ্চনের গতকাল করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর আজ অমিতাভের পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং নাতনি আরাধ্যারও করোনা ধরা পড়েছে।

গতকালই ঐশ্বরিয়া আর আরাধ্যার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল কিন্তু সেটা নেগেটিভ ছিল। সন্দেহমুক্ত হওয়ার জন্য আজ আবার তাঁদের পরীক্ষা করা হয় এবং পজিটিভ বেরোয়। অমিতাভের স্ত্রী জয়া বচ্চনের করোনা পরীক্ষায় অবশ্য নেগেটিভ বেরিয়েছে।

অমিতাভ ও অভিষেক দুজনেই মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং তাঁদের অবস্থা ভালই আছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বস্তুত অমিতাভের সংক্রমণ খুবই হালকা স্তরের ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে ওঁর বয়েস এবং নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকেরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।

এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের বেশকিছু চিত্রতারকা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে করোনার শিকার হয়েছেন। অমিতাভ বচ্চনের বাংলো জলসা আর জনক, দুটোতেই ওষুধ ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার পর মুম্বাই পুরসভা সেগুলো সিল করে দিয়েছে। পুরো এলাকাটা কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার কাছেই চিত্রতারকা রেখার বাড়ি। সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষীর করোনা ধরা পড়ায় সেই বাড়িটিও এখন সিল করে দেওয়া হয়েছে।

অভিনেতা অনুপম খের জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নিজে অবশ্য এখনো নেগেটিভ রয়েছেন তবে তাঁর মা, ভাই এবং আরও কয়েকজন আক্রান্ত।

ভারতে ইদানীংকালে অদ্ভুত একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশিষ্ট কোনও লোকের কোনও অসুখ বা বিপদআপদ দেখা দিলেই এখানে ওখানে হিন্দুত্ববাদীরা যজ্ঞ শুরু করে দেন। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে আর মুম্বাইয়ের একটি এলাকায় ঢাকঢোল পিটিয়ে রীতিমতো যাগযজ্ঞ করে অমিতাভ বচ্চনের আরোগ্য কামনা করা চলছে। তবে ওঁদের মতো মেগাস্টাররা যেভাবে থাকেন বা চলাফেরা করেন তাতে তাঁদের কিভাবে করোনা আক্রমণ করলো সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে।

এখন আসলে এমন কোনও ঘর নেই বা এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে জোর দিয়ে বলা যায় যে করোনা ঢুকবে না। এমন কোনও ব্যবস্থাও করা যাচ্ছে না যাতে করোনা ঢোকার পথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা যায়। সেইজন্যই চিকিৎসকেরা, প্রশাসন এবং জনসাধারণ খুবই উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *