বিএনপি-জামায়াতের মান-অভিমান যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যাবে: বাহাউদ্দিন নাছিম

রাজনীতি

নিখাদ বার্তাকক্ষ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের মান-অভিমান যেকোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে যাবে আর এরা পাকিস্তানি আইএসআই এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকবে। এরা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে দেশের মানুষদের ছোট করার জন্য সব ধরনের কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রই করবে। এদের মান অভিমানকে বিশ্বাস করা যাবে না। এরা শান্তির বিপক্ষে উন্নয়নের বিপক্ষে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলুক, বাংলাদেশ অসম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে জাতির পিতার আদর্শে এগিয়ে যাক এই অপশক্তি সেটি চায়না।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন অবৈধ রাষ্ট্রপতি ও একইসাথে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান সেনা ছাউনিতে বসে নিজস্ব গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় জামাত, দেশ বিরোধী অপশক্তি, রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি এবং ঘাতক দালাল ও সুবিধাবাদীদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষা ও তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য সংবিধান কলঙ্কিত করে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স আইন জারি করেছিল জিয়াউর রহমান। সে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে।কারাগারের ভিতরে বিচারের নামে বহু মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। আমাদের সেনা বাহিনীর বহু অফিসার ও সৈনিকদের হত্যা করেছে। হত্যা করার কারণ নিজের দুঃশাসনকে পাকাপোক্ত করা।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের কট্টর সমর্থক শাহ আজিজুর রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। শাহ আজিজ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করে।জিয়া যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আলিম, সাকা, মশিউর রহমান সহ অসংখ্য যুদ্ধাপরাধীকে নিজের দলের নেতা বানিয়েছিলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজকে বিএনপি বলে বেড়ায় তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। তারাই সবথেকে বেশি মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এই বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের সংসদে নিয়ে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল। গত কয়েকদিনের নিউজে দেখলাম তাদের মধ্যে নাকি মনোমালিন্য চলছে। গতকাল বিএনপি নেতারা বলেছে এটা নাকি সামান্য মান অভিমান। তেমন কিছু না। আমি বলতে চাই এটা কিসের মান,কিসের অভিমান। এটা হলো বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর মান অভিমান, কত দ্রুত পাকিস্তান বানাতে পারে এ নিয়ে। এরা বেইমান, এরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না।

বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *