নিখাদ বার্তাকক্ষ : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দুর্নীতির মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এ মামলায় প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণের সাজা হয়েছে ২১ বছর। এছাড়া তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুদকের মামলার আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতের পিপি মাহমুদুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালতে এই রায় দিয়েছেন।”
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। প্রদীপ কারাগারে থাকলেও তার স্ত্রী চুমকি তখন পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে চুমকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটায় ৬ তলা বাড়ি, ষোলশহরে বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে।
তাদের ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও এ ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এদিকে ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলায় ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন।