করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই বাংলাদেশ থেকে পুনরায় শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে আগ্রহী মালয়েশিয়া। তাই শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া ও শর্তগুলোর চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার খসড়া প্রটোকলকে চূড়ান্ত করতে চায় দেশটি। এ জন্য বাংলাদেশে একটি অনলাইন অটোমেটেড সিস্টেম চূড়ান্ত করতে বলেছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভাবান বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদকে মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে এ কথা জানান। চিঠিতে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশি শ্রমিকরা একই খাতে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে বলেও জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর চিঠিতে বলা হয়, দুই দেশের কর্মকর্তারা ২০১৬ সালের বাংলাদেশ মালয়েশিয়া প্রটোকল চূড়ান্ত করার কাজ করছে। এর মধ্যে দুটি বিষয় চূড়ান্ত হওয়া প্রয়োজন। অভিবাসন ব্যয় এবং রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এজেন্সির সংখ্যা বাড়াতে হলে শুধু এজেন্সির ট্রাক রেকর্ড ভালো, ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা, দক্ষতা এবং শ্রমিক নিয়োগ ও পাঠানোর সক্ষমতা আছে তাদেরই বিবেচনা করতে হবে। সম্পূর্ণ অনলাইন অটোমেটেড ইনটিগ্রেটেড সিস্টেম সম্পর্কে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় সরকারি সংস্থা, নিয়োগকর্তা, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে সব স্টেকহোল্ডারই অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমেই কাজ করে। বাংলাদেশেও এমন একটি কমপ্রিহেনসিভ অনলাইন সিস্টেম থাকলে দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। পুনর্নিয়োগের বিষয়ে চিঠিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী লিখিছেন, করোনাভাইরাসে যেসব অভিবাসী শ্রমিকের চাকরির স্টাটাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পুনর্নিয়োগের বিষয়ে গত ৪ জুন সম্মতি মালয়েশিয়ার কেবিনেট দিয়েছে। শুধু মালয়েশিয়ার শ্রম ও ইমিগ্রেশন দফতরের অনুমোদনক্রমে একই খাতে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা। দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের ক্ষমার আওতায় আনার বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি হাইকমিশন কর্মকর্তারা বলছেন, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকায় মালয়েশিয়ার অর্থনীতি পুনরায় চালু করার চেষ্টা চলছে। প্রায় তিন মাস ধরে কাজ ছাড়া বসে থাকা অনেক বাংলাদেশি এখন যোগ দিচ্ছেন কাজে। কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বা শ্রমিকদের ছাঁটাই করছে। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠানে নতুন বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে বিদেশি শ্রমিকরা একই খাতে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে কাজ করার সুযোগ পাবেন।